০৪ মে ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও দর্শনা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক এমএ গফুর ইন্তেকাল দর্শনায় পৌর উদ্যোগে সড়কে পানি ছিটানো উদ্যোগ তেঁতুলিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় বিএনপি’র আহ্বায়ক রেজা ও যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলু ভাট্টির দল থেকে পদত্যাগ চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯ বাড়ি শেষ
ইউরোপে হ্যালোইন উৎসবে মেতেছে সারারাত

ইউরোপে হ্যালোইন উৎসবে মেতেছে সারারাত

সৈয়দ মুন্তাছির রিমন-(প্যারিস) ফ্রান্সঃ শীতের হালকা হিমেল হাওয়ায় ছেলে-বুড়ো সবাই অধীর অপেক্ষায় কখন দিনের আলো শেষ হয়। পশিচমের সূয্যমামা তার কাজ শেষে হেলে পড়বে। একটু অন্ধকার নেমে আসলে শুরু হয়ে যাবে ভূতের নৃত্য। পৃথিবীতে যত ভূত-প্রেত সবাই যেন রাতেই চলে এসেছে লোকালয়ে। বিভিন্ন রঙ-বেরঙের ভূতুড়ে পোশাকে সজ্জিত দৃশ্যমান ভূতেদের ট্রিট দিতে সবাই যেন অস্থির।
আর এই ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি ‘হ্যালোইন উৎসব’ পালন করা হয় প্রতি বছর। ‘হ্যালোইন’ বা ‘হ্যালোউইন’ শব্দটি এসেছে স্কটিশ ভাষার শব্দ ‘অল হ্যালোজ’ ইভ থেকে। হ্যালোইন শব্দের অর্থ ‘শোধিত সন্ধ্যা বা পবিত্র সন্ধ্যা’। সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়ে ‘হ্যালোজ’ ইভ’ শব্দটি এক সময় ‘হ্যালোইন’-এ রূপান্তরিত হয়।

প্রায় দুই হাজার বছর আগে বর্তমান আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও উত্তর ফ্রান্সে বসবাস করতো কেল্টিক জাতি। নভেম্বরের প্রথম দিনটি তাদের নববর্ষ বা ‘সাহ-উইন’ হিসাবে পালন হতো। এই দিনটিকে তারা গ্রীষ্মের শেষ এবং অন্ধকারের বা শীতের শুরু মনে করতো। আর অক্টোবরের শেষ একটি দিনকে মনে করতো সবচেয়ে খারাপ রাত। যেই রাতে সকল প্রেতাত্মা ও অতৃপ্ত আত্মা তাদের মাঝে ফিরে আসে। যদি এদের সঙ্গে মানুষের দেখা হয় তবে সেই মানুষের ক্ষতি হতে পারে। আর তাই মানুষরা এই রাতে বিভিন্ন রকম ভূতের মুখোশ ও কাপড় পরে কাটাতো। আর রাতের বেলা আগুনের পাশে মুখোশ পরে বৃত্তাকারে একসঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে মন্ত্র বলা, নিজের পরিবার ছোট হলে অন্যের বাড়িতে থাকাসহ সামাজিক ভাবে একত্র হত। সময়ের পরিক্রমায় কেল্টিক জাতির এই ‘সাহ-উইন’ উৎসবই এখনকার দিনের ‘হ্যালোইন’ উৎসব।
ফ্রান্স ও আয়ারল্যান্ডে ৩১ অক্টোবর ‘হ্যালোইন উৎসব’ উপলক্ষে সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি নারী, পুরুষ ও শিশুরা ভৌতের সাজ সজ্জায় মেতে উঠে। এখানকার বিশেষ কর শিশুরা হ্যালোইন কস্টিউম যেমন ডাইনি, জলদস্যু, ভ্যাম্পায়ার, ষ্পাইডারম্যান, জম্বি ও ব্যাটম্যান পোষাক পরিধান করে। সন্ধ্যায় বাড়ির আঙ্গিনায় ভৌতিক আবহাওয়া আনার জন্য মাকড়সার কৃত্রিম জাল ও মিষ্টি কুমড়োর সব কিছু বের করা হয়। তারপর বিভিন্ন ভৌতিক ডিজাইন করে আলোক বাতি রাখা হয়। বাড়ির লাইট নিভিয়ে দিয়ে একটি ভৌতিক পরিবেশ আনা হয়। ভৌতিক পরিবেশে শিশুরা সন্ধ্যায় ব্যাগ নিয়ে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে ভয় দেখায় এবং বাড়ির মালিক শিশুদেরকে চকলেট দিয়ে বিদায় করেন। শিশুরা ব্যাগ ভর্তি চকলেট নিয়ে বাসায় ফেরে। এই একটি দিন নগর জীবনের ব্যস্ততা ও রাশভারী মানুষজন বাড়িতে নক করাকে কিছুই মনে করেন না। বরং উৎসাহ নিয়ে অপেক্ষা করেন। কখন শিশুরা এসে তাঁদের ভয় দেখাবে।
বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের অনেক গুলো দেশে হ্যালোইন পালিত হয়। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, পুয়ের্তো রিকো, এবং যুক্তরাজ্য। এছাড়া এশিয়ার জাপানে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড হ্যালোইন পালিত হয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019